হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি কোনো নতুন ভাইরাস নয়। ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে এটি প্রথম শনাক্ত হয়। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন জানিয়েছেন, বহু আগেই এই ভাইরাস বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে।
এই ভাইরাস মূলত ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির গবেষণা অনুসারে, এইচএমপিভি সংক্রমণে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং নিউমোনিয়া হতে পারে। বিশেষত শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতীদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।
ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, “এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই একটি ভাইরাস। তবে দ্রুত মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের ক্ষমতা বাড়তে পারে। তাই এটি প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “শিশু, বয়স্ক এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে জ্বর, সর্দি, হাঁচি বা কাশি দেখা দিলে অবশ্যই তাদের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা এবং সতর্কতাই প্রধান হাতিয়ার।”
সম্প্রতি চীন, জাপান ও মালয়েশিয়ায় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবরে সারা বিশ্বেই নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ভারতেও দুই শিশুর শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের মানুষও দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার, হাত ধোয়া এবং আক্রান্তদের আলাদা রাখার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।